ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতির ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধ সাসনে অবদান(৯২ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে)
**************************
১৯৫৯ খৃস্টব্দ । আমি তখন তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র । নোয়াখালী কুমিল্লায় বুদ্ধ আলোয় পুনরুজ্জীবন দাতা জঙ্গম তীর্থ উপসংঘরাজ ভদন্ত গুণালংকারের মৃতদেহ তখন সৎকারের অপেক্ষায় একটি বছর যাবত পেটিকাবদ্ধ তৎগুরু ভিক্ষু মুনিন্দ্রপ্রিয়ের (কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিনয় বিশারদ উপাধি ধর)জন্মদেয়া জোবরা সুগত বিহারে।
স্মৃতিপটে বেশ মনে আছে বিহারের বড়ো পরিসরে মাটির পিলারের ধর্মশালায় গ্রামসুদ্দ নারী-পুরুষ আর গুণালংকারের শিষ্য ও অনুরাগী ভিক্ষু গৃহীগণের উপস্থিতির এক স্মরণীয় দৃশ্য। সেই সমাবেশে ভিক্ষু মহাসভার সম্পাদক উপসংঘরাজ ভদন্ত গুণালংকারের ডানহাত তুল্য ভদন্ত শান্তপদ মহাথেরো দাঁড়িয়ে ভাষণ দানের পর দায়িত্ব বন্টন হচ্ছিল দেশ গ্রাম ঘুরে দান সংগ্রহের ।
সবার প্রাণপ্রিয় গুণালংকারের সমাগত শেষ কৃত্য উপলক্ষে দশ দিন ব্যাপী ভিক্ষুত্ব পরিশুদ্ধির পরিবাস ব্রত আয়োজনে প্রচুর অর্থ সংগ্রহের দরকার।
হাটহাজারী, ফটিকছড়ি,রাউজান, নিজামপুরপরগণা(সীতাকুন্ডু, মীরসরাই), নোয়াখালী কুমিল্লা, ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, এই বিস্তীর্ণ অন্চল ছিল ভদন্ত গুণালংকারের প্রতিবছর বিনা আমন্ত্রণে রুটিন মাফিক পরিক্রমা ক্ষেত্র । ইহা ছিল ভদন্তের সমগ্র ভিক্ষুজীবনের মহান ব্রত। এখনো লোকমুখে শোনা যায় ভদন্ত গুণালংকারের ফিবছর পরিক্রমাটির জন্যে গ্রামের মানুষ কেমন অধীর অপেক্ষায় থাকতেন । ভদন্তের এই চারিকং ধর্মমিশনটি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল উজ্জ্বল গৌরবর্ণের বিশাল দীঘদেহী খাদ্যবিলাসী আর হাঁস্যরসিক দেবোপম গুণালংকারের বিরল কারিসমার কারণে।
তাই সমাবেশের মধ্যে উৎসাহের ঘটতি ছিলনা এই বিস্তীর্ণ অন্চলের গ্রাম গ্রামন্তর ঘুরে ঘুরে দান সংগ্রহে । সমতল এলাকার দান সংগ্রহে যাকে যেদিকে দায়িত্ব দেওয়া হলো বিনা আপত্তিতে রাজী হলেন সবাই । কিন্তু পার্বত্য এলাকায় দান সংগ্রহে যেতে কেহ সম্মত হচ্ছেন না দেখে বয়ষ্ক শ্রামণ ভদন্ত গুণালংকারের শিষ্য প্রজ্ঞাজ্যোতি নিলেন সেই কঠিন দায়িত্ব । কারণ এই বয়ষ্ক শ্রমণটির সাথে কাপ্তাই ধনপাতার বনশ্রমণের বিশেষ সখ্যতা সুত্রে পাহাড়ে ভালো বিচরণ আছে ।
আমার কিশোর মনে ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি সেইদিনেই প্রথম দাগ কাটলো। দ্বিতীয় বারের স্মৃতি হলো শ্রামণ্যগুরু গুণালংকারের দাহকৃত্যে আয়োজিত পরিবাস ব্রতের সূচনায় সুগত বিহার সীমায়(গেইং) সমবেত ভিক্ষুসংঘ কর্তৃক শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতিকে ভিক্ষু দীক্ষা নিয়ে দ্বন্দ্বের দৃশ্যটি । ভিক্ষু হওয়ার বয়স বহুকাল আগে অতিক্রম হওয়ার পরও তিনি কিছুতেই ভিক্ষু হতে ইচ্ছুক নহেন । অথচ ভদন্ত জ্ঞানীশ্বর মহাথেরো, ভদন্ত আনন্দমিত্র মহাথেরোর মতো পিটকধর সাধকগণের স্নেহ সান্নিধ্যে পিটকীয় জ্ঞান ও ধ্যান শিক্ষা অনুশীলনে গড়েউঠা অনন্য ভিক্ষুতুল্য তখন সেই শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতি। তাই সর্বজ্যেষ্ঠ গুরুভাই আলীশ্বরের ভদন্ত পূর্ণানন্দ মহাথেরো জোরপূর্বক ভিক্ষুত্বে দীক্ষা দিলেন শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতিকে । তাতে যথেষ্ট সময় ক্ষেপনের দৃশ্যটি এখনো আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে । উপস্থিত সংঘ ভদন্ত পূর্ণানন্দ মহাথেরোকেই উপাধ্যায় মনোনীত করেছিলেন শ্রামণ প্রজ্ঞাজোতির উপসম্পদায় ।
গুরু গুণালংকারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি হয়েছিল স্মরণাতীত কালের সেরা সমাবেশে । এগারোটি দিনের প্রতিটি দিন চট্টগ্রাম নাজিরহাট যাতায়াতকারী ট্রেইন কর্তৃপক্ষকে অস্থায়ী স্টেশন করতে হয়েছিল শুধু এই অনুষ্ঠানের যাত্রী উঠা-নামার জন্যে ।
সেই অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ও সমাগত ভিক্ষু গৃহীদের মধ্যে যাদের স্মৃতি এখনো আমার মনে দ্যেদীপ্যমান তাঁদের মধ্যে সপ্তম সংঘরাজ ভদন্ত অভয়তিষ্য মহাস্থবির, বিনয়াচার্য ভদন্ত বংশদীপ মহাস্থবির, সুললিত কন্ঠী ভদন্ত নাগসেন মহাস্থবির , এবং রেঙ্গুন থেকে সরাসরি জোবরা পরিবাসব্রতে যোগদানকারী পট্ঠানপারগু তরুন ভদন্ত লোকানন্দ থেরো । ভদন্তকে ঠিক সপ্তম সংঘরাজের মতোই বেন্ডবাদ্য সহকারে পরিবাসব্রত মন্ডপে স্বাগত জানানো হয়েছিল।
এগারো দিনের অনুষ্ঠান সন্চালক গৃহীদের মধ্যে রাউজানের সুপুরুষ নরেশ দারোগা, গহিরার অতুল মেম্বার, বিনাজুরীর সোহাদেব মোক্তার । তারা তিন জনেই সারাদিন অনুষ্ঠানের নানা আয়োজনে ব্যস্ততা শেষে রাতের বিশ্রাম ও চাঁ নাস্তার পর্ব সারতেন আমাদের বাড়িতে । তাতে খুব সখ্যতা জমেছিল আমাদের পরিবারের সবার সাথে ।যাক্ প্রতিদিনের সদ্ধর্মদেশনায় অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে এগারোদিনের এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ।
সেই ব্যস্ততা সমাপ্তির পর উপসংঘরাজ গুণালংকারের জ্যেষ্ঠ শিষ্য আলীশ্বরের ভদন্ত পূর্ণানন্দ মহাথেরো অতিসম্প্রতি ১৯৬০ এর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ধসেপড়া সুগতবিহারের সবকিছু পুণঃনির্মাণ ও গুরুদেবের স্মৃতিমন্দির নির্মাণে আত্মনিয়োগ করলেন । তাঁকে মাঝে মাঝেই আলীশ্বর যেতে হতো নিজের পৈত্রিক জমি জমা বিক্রি করে করে অর্থ সংগ্রহের জন্যে। তাই বিহার পরিচানলনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নব উপসম্পন্ন ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি ভিক্ষুর উপর । তিনি মাস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া, মাস্টার রবীন্দ্র লাল বড়ুয়া , রেলওয়ে একাউন্টেন নতুনচন্দ্র বড়ুয়া(তখনো তাঁরা কলেজে পড়ুয়া) প্রমূখ গ্রামের বেশকিছু ছাত্র যুবককে ধ্যান অনুশীলনে আগ্রহী করে তুলেছিলেন । বিশেষ করে গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের মুরুব্বী কমরেড প্রীতিভূষণ চৌধুরীর পরিচর্যায় জন্ম নেয়া জোবরা বৌদ্ধ পল্লী উন্নয়ন সমিতির শিশু কিশোর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম আমি । আমার সাথে গুণালংকার মহাস্থবিরের রেখে যাওয়া বিহারের শিশু সেবক আমার সহপাঠী সোনাইমুড়ীর জগদীশের বন্ধুত্ব ছিল গভীর । সেই সুবাদে বিহারের সেবাকাজে তাকে প্রায়ই সহযোগিতা করতাম বিহারাধ্যক্ষের বেত্রাঘাত হতে রেহাই দেওয়ার জন্য । তদুপরি ছড়া কবিতা আবৃত্তিতে আমার মুখস্ত শক্তি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমার বাকশক্তির প্রতি সবিশেষ আকৃষ্ট ছিলেন জোবরা সুগত বিহারের নব অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি ভিক্ষু । তাই ভদন্ত আমাকে নানাভাবে উৎসাহিত করে আমার পিতার কাছে প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন আমাকে ভদন্তের কাছে শ্রামণ্য জীবনে দীক্ষা দানে। আমার পিতা ভদন্তকে আশ্বস্ত করেছিলেন আমাকে তিনি মেট্রিক পাশ করানোর পর ভদন্তকে দান দেবেন।
ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি ভিক্ষু মাত্র দুই বর্ষা জোবরা সুগত বিহারে অবস্থানের পর কোথায় চলে গেলেন জানিনা । আর আমি সেই ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত এসে হয়ে গেলাম কলেজ পড়ুয়া এক ঘোর কমিউনিস্ট । কার্ল মার্ক্স ,লেলিন, মাও এর বিপ্লবী লেখা বই যা পেয়েছি জোবরা গুণালংকার স্মৃতি পাঠাগার আর চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লার বই এর দোকানে ও মুসলিম হলের লাইব্রেরিতে দিনের পর দিন পড়েছি । কারণ তখন দেশ ব্যাপী রাজনৈতিক আর ছাত্র আন্দোলনে লেখাপড়া একপ্রকার গরুগাড়ীর গতি পেয়েছে । একজন বৌদ্ধ পরিবারের সন্তান হয়েও এই পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ে একটি গ্রন্থও হাতে আসেনি । সন্ধান করে পড়ার কোন আগ্রহ সৃস্টিতে পরিবার বা কোন ভিক্ষু থেকে সহযোগিতা পাইনি ।
১৯৭০এ পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠা গণ আন্দোলনের জের ধরে শুরু হলো ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পাকসেনার বিরুদ্ধে । পাকসেনাদের স্থানীয় বাঙালি দোসর আলবদর রাজাকারদের সহায়তায় পাকসেনারা গ্রামের পর গ্রাম অমুসলিমদের ঘরবাড়ি লুট আর অগ্নিসংযোগ সহ খুন ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে কিছুদিন মুক্তি যোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছি। কিন্তু তাদের দুর্বল প্রতিরোধ শক্তিশালী পাকসেনাদের সামনাসামনি হওয়া দুরুহ হয়ে পড়ায় একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটার সময় আমাদের গ্রামে হঠাৎ উপস্থিত হলেন ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি ভিক্ষু মহোদয় ।
তিনি নিজ গ্রাম ফটিকছড়ির হাইদচখিয়ায় মা ও ভাই বোনদের পরিস্থিতি দেখার পর নিজ আবাস কক্সবাজারের রাংকূট বনাশ্রমে ফেরার পথে গুরুতীর্থ জোবরা সুগতবিহার দর্শনে এসেছেন । জীবন ভয়ে আতঙ্কিত আমরা ভান্তের সাথে দেখা করতে এলাম লুটপাট হয়ে যাওয়া সুগতবিহারে । তিনি রামুর প্রায় বৌদ্ধরা বার্মার আকিয়াবে আশ্রয় নিয়েছেন জেনে আমরাও সেখানে পৌঁছতে চাইলে ভান্তে বললেন ; আগে তোমরা দুই জন আমার সাথে গিয়ে পরিস্থিতি কেমন আছে তা দেখে সিদ্ধান্ত নাও। তা ই হলো। গ্রামের যুবকেরা রেলওয়ে একাউন্টেন নতুন বড়ুয়া ও আমাকে শ্রদ্ধেয় ভান্তের সাথে যেতে মনোনীত করলেন।
আমি সন্ধ্যায় ঘরে এসে মা বাবাকে বললাম আগামীকাল মধ্যাহ্ন ভোজের পর রামু রওনার কথা । পাক সেনাদের নিয়মিত তল্লাশিতে আমরা জীবন সংকট দেখে তাঁরাও সম্মতি দিলেন।ভোজন শেষে ঘুমোতে গেলাম।
রাতগভীরে ঘুমের ঘোরে বাবা আমাকে নীচু স্বরে জাগিয়ে বললেন চলো বিহারে যাই । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবা দরজা খুলে আমাকে নিয়ে রওনা দিলেন। আমিও কৌতুহলী মনে নীরবে বাবাকে অনুসরণ করলাম । তিনি ভান্তের শয়ন কক্ষের দরজায় কড়া নাড়তেই দরজা না খুলে ভান্তে ভীতকন্ঠে জানতে চাইলেন আমরা কে । এতোগভীর রাতে আসার কারণ কি । বাবা বললেন আমার ছেলে যে আগামীকাল আপনার সাথে যাবে, সে সম্পর্কে জানতে এসেছি ভান্তে । অনুগ্রহ করে দরজা খুলুন। আশ্বস্ত হয়ে ভান্তে ভিতরে বসতে দিলেন। তারপর , আমার পিতা সোজাসুজি আমার হাত শ্রদ্ধেয় প্রজ্ঞাজ্যোতি ভিক্ষুর হাতে তুলেদিয়ে ভান্তেকে বললেন ; এই সন্তানকে আপনি একসময় দান করতে বলেছিলেন । আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ।আজ আমি স্বপ্নে দেখলাম আমার সন্তান টি আপনাকে দান দিচ্ছি । তাই ঘুম ভাঙতেই তাকে নিয়ে এলাম । আজ থেকে সে আপনার সন্তান ।পিতা এভাবে আমাকে দান দিলেন , অথচ আমার কোন মতামত বা মায়ের মতামত কিছুই চাইলেন না । বিষয়টি কেমন জানি লাগলো। ভাবলাম তিনি হয়তো আমার নিরাপত্তার জন্যেই এমনটি করলেন। প্রব্রজ্যা গ্রহণ করি না করি তা তো আমার নিজের ব্যাপার । মনে মনে কল্পনা করছিলাম কোন প্রকারে আকিয়াবে পৌঁছতে পারলে একদিন অনেক ভূ সম্পদ সংগ্রহ করে গরীবদের নিয়ে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করবো কমিউনিজম ভাবধারায় ।
পরদিন যথাসময়ে কক্সবাজারের বাস যোগে রওনা দিয়ে কালুর ঘাটব্রীজে পৌঁছতেই দেখলাম যমদূত হাজির ।
ভারী অস্ত্রে সজ্জিত দৈত্যের মতো তাগড়া মোচওয়ালা দুই পাকিস্তান আর্মি কালুর ঘাট ব্রিজে প্রবেশ মুখে গাড়ি হতে সব যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে লাইন করে দাঁড় করালো ।যাদেরকে সন্দেহ করছে তাদেরকে লাইন থেকে দূরে নিয়ে গেল। আমাদের ত্রাণকর্তা ভান্তে মহোদয় আমরাদেরকে চায়নিজ বুড্ডিস্ট পরিচয় দিতে কিছু বার্মিজ ভিক্ষুর ছবি দেখালেন। তারা বিশ্বাস করে বাসে উঠতে দিলো। আমার হার্টের ধুকপুকানি থামতে অনেক সময় লাগলো । এতোক্ষণ ভাবছিলাম মারাত্মক ভূলকরে স্বেচ্ছায় জীবন দিতে এসেছি । গাড়ী চলছে আর ভাবছি সামনে আরো কোন বিপদ ওৎপেতে আছে কিনা। ভান্তেকে প্রশ্ন করলাম পথে এতোসব সমস্যার কথা গতকাল আমাদের বলেননি কেন? তিনি বললেন; আমি যাওয়ার সময় তো ছিলনা। কী আর করা । আতঙ্কিত মন বার বার চলে যাচ্ছে কালুরঘাট ব্রীজে যাদেরকে গাড়ীতে উঠতে দেয়নি তাদের ভাগ্যে কি আছে সেই ভাবনায় । পরে জেনেছি গভীর রাতে কালুর ঘাট, মদুনাঘাট আর সত্তারঘাট ব্রীজে এজাতীয় সন্দেহজনকদের গুলি করে নদীতে ফেলে দিয়েছে অসংখ্য নিরীহ মানবকে ।—-
(চলবে)
0 Comments