ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি ও বিশ্বব্যাপী বুদ্ধ সাসনে অবদান ৯২ তম জন্মদিন স্মরণে
(৩য় পর্ব )
বাঙালী বৌদ্ধদের মধ্যে সর্বপ্রথম বিদর্শন ধ্যান শিক্ষা দাতা ছিলেন রেঙ্গুনে চিকিৎসা পেশারত হাটহাজারীর গুমানমর্দন গ্রামের ডাক্তার রাজেন্দ্র লাল মুৎসুদ্দী(১৮৮৭ খৃঃ ২২মে ;রবিবার—১৯৫২;নভেম্বর২৯,রবিবার)। তিনি বিশ্বখ্যাত বিদর্শনাচার্য সেয়ামং(মহাসি স্যাডো ) থেকে বিদর্শন শিক্ষা নিয়ে ধ্যান চর্চায় নিজেকে সমুন্নত করলেন । অতঃপর ১৯২৪খৃঃ বার্মার পোয়ের ডাকুই তে বিদর্শন ধ্যান শিক্ষা কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করে বাংলার বিদর্শন সাধক মন্ডলী ভদন্ত জ্ঞানীশ্বর , শান্তরক্ষিত, বিমলাচার, সুমনাচার,শান্তপদ, ধর্মবিহারী , ননীবালা প্রমূখ অনেক কে বিদর্শন ধ্যানে অনুপ্রাণিত করে গেলেন। ভদন্ত দশম সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথেরো ছিলেন ডাক্তার রাজেন্দ্র লাল মুৎসুদ্দির শেষ জীবনের শিষ্য।তারপর থেকেই বিদর্শন ভাবনা বাংলার মাটিতে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়।
আমাকে বুদ্ধ প্রেমি করার কারিগর ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরো তাঁর শ্রামণ্য জীবনে বিদর্শনাচার্য ভদন্ত জ্ঞানীশ্বর মহাথেরোর কাছেই শিক্ষা ও অনুশীলন করেছেন বিদর্শন ধ্যান । পরে তিনি জীবন ভর এই ধ্যান শিক্ষা দিয়েছেন অসংখ্য ভিক্ষু শ্রামণ ও গৃহীকে । আমার মানবিক সেবামূলক কাজে ব্যাপক সহায়ক জার্মান বুড্ডিস্ট ইউনিয়নের সেক্রেটারি ধর্মবোন খৃস্টা বেনটেন রাইডার (মিউনিক) এবং এই সংস্থার চেয়ারম্যান ডক্টর রাইমার কোলস্কা এই দুইজন ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরোর কাছে বিদর্শন শিক্ষা ও অনুশীলন করে সারা জীবন পশ্চিমা বিশ্বে ধ্যান শিক্ষাদানে নিবেদিত থেকেছেন।
ভদন্ত আনন্দ মিত্র আকিয়াবের পোত্তলি মহাশ্মশানে শ্মশানিক ধুতাংগ অনুশীলন করে ছিলেন কায়গতানুস্মৃতি ও নব সিবথিকা নামক মরদেহের রূপান্তর নিয়ে ভাবনার মাধ্যমে। তাঁর সেই অনুশীলন অভিজ্ঞতায় সবিশেষ অনুপ্রাণিত করেছেন অনেক ভিক্ষু গৃহীকে । তন্মধ্যে আমার গুরুদেব অন্যতম । আমি ১৯৭১ প্রায় একটি বছর কক্সবাজার রাংকূটে গত করেছিলাম এই কায়গতানুস্মৃতি অনুশীলনের মাধ্যমেই।ইহা ভদন্ত আনন্দ মিত্র মহাথেরোর শিক্ষা পরম্পরা দেহকে নিয়ে বৌদ্ধিক ধ্যান অনুশীলন প্রথার প্রচলন বাংলার ভিক্ষুসংঘে ।
প্রসঙ্গ ক্রমে সেই ভদন্ত আনন্দ মিত্রের জীবন সম্পর্কে কিছু বলা দরকার ; যা আমার গুরুদেব ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরো ও আমার জীবন স্বভাবের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ ।
বৃটিশের যেই সম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যেতো না ; সেই ব্রিটিশ সম্রাজ্যের পতনের ডাক শুরু হয়েছিল আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বীর চট্টলার সূর্য সন্তান মহাবিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেনের নেতৃত্বে ।বিপ্লবী সূর্য সেনের বৃটিশ তাড়াও অভিযানে বৃটিশের শক্ত ঘাঁটি ট্টগ্রামের অস্রাগার লুন্ঠণ আর চট্টগ্রাম শহরের জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে সস্রযুদ্ধের পটভূমিতে সেদিন স্কুল কলেজের তরুণেরা পর্যন্ত যোগদান করেছিলেন । তাঁদেরই একজন ছিলেন আমাদের তেজস্বী আজীবন প্রতিবাদী সন্তান অখিল ভারতীয় ভিক্ষু সংঘের প্রথম সংঘনায়ক সাধক ভদন্ত আনন্দমিত্র মাহাস্থবির ।
ভদন্ত আনন্দ মিত্রের জন্ম রাউজানের পশ্চিম আধাঁর মানিক গ্রামে ।যার দক্ষিণ পাশে মগদাই খাল সংলগ্ন গ্রামে জন্ম মাস্টার দা বিপ্লবী সূর্য সেনের । মেট্রিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলাকালেই যতীন্দ্র নামের ভদন্ত আনন্দমিত্র যোগ দিয়েছিলেন সূর্যসেনের অনুশীলনী গ্রুপে ।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে হেরে গিয়ে বিপ্লবী যারা ব্রিটিশ সেনাদের ধরপাকড়ে জেল খাঁটতে হয়েছিল তন্মধ্যে কিশোর যতীন্দ্র ওরফে ভদন্ত আনন্দ মিত্র অন্যতম। মেধাবী প্রতিভার পরিচয়ে বৃটিশ সরকার তাঁকে কারাবন্দী অবস্থায় মেট্রিক পরীক্ষার অনুমতি দিলে ; কিশোর যতীন্দ্র প্রথম বিভাগে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাঁর সেই সাফল্য তাঁকে দ্রুত কারামুক্তির সহায়তা করে ।
স্বপ্ন ছিল স্বাধীন জন্মভূমির ডাক্তার হয়ে অসহায় রোগীদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবেন। কিন্তু, মাস্টার দা সূর্য সেন প্রমূখদের ফাঁসিতে মৃত্যু দন্ডাদেশ ঘোষণার পর যতীন্দ্রের জীবন সংকটাপন্ন হলে মা বাবর তাগিদে গোপনে আকিয়াবে চলে যান। সেখানেও সাধারণ ভাবে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ বুঝে তিনি সেখানে প্রব্রজ্যা গ্রহণ পূর্বক সাধনা উপযোগী পোত্তলি মহাশ্মশানে
অবস্থান শুরু করেন। তথাকার অন্যান্য সাধকগণের ধ্যানে নিবেদিত জীবন যাত্রায় প্রভাবিত হয়ে প্রব্রজ্যা জীবনকে আমৃত্যু কালের সংকল্পে আবদ্ধ করেন।
পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি শ্রীলংকায় ধর্ম বিনয়ে উচ্চ শিক্ষিত বিনয়াচার্য ভদন্ত বংশদীপ মহাথেরোকে উপাধ্যায়ত্বে বরণ করে ভিক্ষু জীবন গ্রহণ করতঃ পটিয়ার কত্তলা বেলখাইন সদ্ধর্মলংকার বিহারে অবস্থান শুরু করেন। সেখানে অবস্থান কালেই আমার ভাবিগুরু শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতিকে ভদন্ত জ্ঞানীশ্বর মহাথেরো হতে শিক্ষার্থী শিষ্য রুপে লাভ করলেন।
পূজ্য বংশদীপ ভান্তের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কর্তলায় বোধি বৃক্ষের ঢাল কেটে ফেলা নিয়ে গুরুর সাথে ভদন্ত আনন্দমিত্রের মনোমালিন্য হয় (সংঘরাজ ধর্মসেন মাহাস্থবিরের কথিত ) । অধিকন্তু লোকালয়ের পরিবর্তে ধ্যান সাধনায় আরো নির্জন পরিবেশে লাভে ভদন্ত আনন্দমিত্র শিষ্য প্রজ্ঞাজ্যোতিকে নিয়ে বোয়ালখালির ছতরপিটুয়া অরণ্যে গিয়ে বেশ কিছু কাল অবস্থান করেন। ভদন্ত সারা জীবন টাকা স্পর্শ করেননি । কিন্তু সেখানে প্রধান সেবক অধ্যাপক সুরেন্দ্র বড়ুয়ার সাথে দান পাওয়া টাকার নিজের প্রয়োজনের সময় না পাওয়া সহ অন্যান্য কারণে তিক্ততার জন্ম নিলে ছতরপিটুয়া অরণ্য থেকে চলে যান বেতাগী অরণ্যে । বর্তমান বেতাগী বনাশ্রম ভদন্তের ধ্যান সাধনার জন্যেই জন্ম দেয়া। সাধক ভদন্ত আনন্দমিত্রের ধর্ম সান্নিধ্যে বেতাগীর জনগণের গৌরবময় পরিবর্তন সাধিত হয়। ভদন্ত আনন্দমিত্রের বেতাগী বনাশ্রমে অবস্থান সময়েই চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে ভদন্ত দীপংকর মহাস্থবিরের নিকটে প্রব্রজ্যা গ্রহণকারী শ্রামণ সাধনানন্দ ( পরে বনভান্তে নামে প্রসিদ্ধ) শহুরে পরিবেশে বীশ্রাদ্ধ হয়ে বেতাগী বনাশ্রমে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। তখন থেকেই পূজ্য বনভান্তের সাথে আমার ভাবিগুরু শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতির গভীর ধর্ম সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ফলে শ্রামণ সাধনানন্দ বেতাগী বনাশ্রম হতে কাপ্তাই ধনপাতা অরণ্যে একাকী অবস্থান কালে প্রায় সময় শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতি সেখানে যাতায়াত করতেন। উভয়ের সিদ্ধান্ত ছিল কখনো ভিক্ষু হবেন না ।কারণ ভিক্ষু হলে বহু শীল পালন করতে হবে । ঠিক মতো এতো শীল পালন করতে না পারলে ধ্যান সাধনায় অন্তরায় হবে । তাই এই দুই সাধক বহু বছর শ্রামণ্য জীবনে ছিলেন। এমন কি পরে নানা পরিস্থিতির কারণে ভিক্ষুরা চাপ সৃষ্টি করলেও উপসম্পদা গ্রহণে উভয়কে সম্মত করাতে বেশ সময় লেগেছে।
জানিনা কি কারণে ভদন্ত আনন্দমিত্র সেই বেতাগী বনাশ্রম হতেও চলে গেলেন রাউজান বিনাজুরীর শ্মশান বিহারে। বর্তমান সংঘরাজ ভদন্ত জ্ঞানশ্রী মহাথেরোর কাছে শুনেছি সেখানে কিছু দিন বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রামের মাতব্বর পর্যায়ের কয়েকজনের সাথে দায়কদের দান চেতনার তফাৎ ব্যখ্যা নিয়ে বেশ তিক্ততার জন্ম হয়।
চট্টগ্রামী বড়ুয়া সমাজে অবস্থান করতে গিয়ে পদে পদে এসকল তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সংঘ ও সমাজ সংস্কারের জন্যেই ভদন্ত আন্দমিত্রের প্রতিবাদী চেতনা হতে জন্ম নেয় “ আমার সমাজ “ নামে কালজয়ী গ্রন্থটি । প্রবাদ তুল্য এই গ্রন্থে বড়ুয়া সমাজের গৃহী ও ভিক্ষু জীবন সম্পর্কে তিনি আত্ম সংশোধনে গঠনমূলক সমালোচনার ভঙ্গিতে এমন কিছু উক্তি করেছেন; যেগুলো এখনো যেকোনো সমাজ সচেতন মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়; বিশেষ করে যারা এই বইটি পাঠ করেছেন।
ভদন্ত আনন্দমিত্র চট্টগ্রামের ভিক্ষু গৃহী পরিবেশে ত্যক্ত হয়ে চিরতরে দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্তে বিনাজুরী হতে যখন ভারতে চলে গেলেন ; তখনই শিক্ষার্থী অন্তেবাসী জীবনের যবনিকা পাত হলো আমার ভাবিগুরু শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতির । আর এসময়েই ১৯৬২ খৃস্টাব্দের ১৫ই ফাল্গুনে মঙ্গলবারে শ্রামণ প্রজ্ঞাজ্যোতির শ্রামণ্য গুরু উপ সংঘরাজ গুণালংকার মহাস্থবিরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগের দিন গুরুভাই আলীশ্বর শান্তিনিকেতন অধ্যক্ষ ভদন্ত পূর্ণানন্দ মহাস্থবিরের উপাধ্যায়ত্বে তিনি ভিক্ষু জীবনে দীক্ষা নিয়ে ভিক্ষু প্রজ্ঞাজ্যোতি নামে আবির্ভূত হলেন বুদ্ধের প্রবর্তিত আড়াই হাজার বছরের সংঘে ও বাংলা ভারতের বৌদ্ধ সমাজে ।
খুব সম্ভব ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতির ভিক্ষুত্ব বরণের সময় তাঁর পরম শিক্ষা গুরু ভদন্ত আনন্দমিত্র মহাথেরো ছিলেন ভারতে । মনে মনে হয়তো বড়ো আশা ছিল নিজের ভিক্ষুত্ব বরণ কালে সেই কল্যাণমিত্রের উপস্থিতি । ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি থেরো ১৯৬২ খৃস্টাব্দের সেই অপূর্ণ আশাটি পূরণ করলেন ১৯৭৩ এ রাউজানের কদলপুরে পন্ডিত ধর্মাধারের একান্ত ভক্ত শিলং এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হেমেন্দু বিকাশ বড়ুয়ার একক অর্থায়নে আয়োজিত দশ দিনের পরিবাস ব্রত ও ধর্মাধার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমার উপসম্পদার দিনে।
আমার গুরুদেব সেই দিন সকাল আটটায় আয়োজন করলেন মাত্র আগের দিন প্রতিষ্ঠিত কদলপুর সুধর্মানন্দ বিহারের বদ্ধ সীমা টিতে। ভারত বাংলার সংঘরাজ নিকায়ের জ্যেষ্ঠ প্রবীণ প্রায় সকল ভিক্ষুর অংশ গ্রহণ ছিল এই ভিক্ষু সীমা প্রতিষ্ঠায়(দুর্ভাগ্যবশতঃ এমন ঐতিহাসিক সীমাটির গুরুত্ব না বুঝে পরবর্তীকালে তা ধ্বংস করা হয়েছে)।
সেই সীমাতে সাধক ভদন্ত আনন্দ মিত্র মহাথেরোকে উপাধ্যায়ত্বের দায়িত্ব নিতে প্রার্থনা জানালেন আমার শিক্ষাগুরু ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি থেরো । পূজ্য ভদন্ত আনন্দমিত্র ভান্তে বললেন ; আমি থাকি ভারতে ; তদুপরি তুমিই বলেছ প্রাথী কলেজ পড়ুয়া আর কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী যুবক । তাকে বুদ্ধের প্শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে তোমার বেশ সময় লেগেছে।অতএব তোমাকেই এই উপসম্পদা প্রার্থীর উপাধ্যায় হওয়া দরকার । এই নিয়ে সেদিন সাধক ভদন্ত আনন্দমিত্র মহাথেরো আমার উপসম্পদা সমাপ্তির পর উপস্থিত ভিক্ষু গৃহীর সমাবেশে শিক্ষিত সচেতন যুবকের ভিক্ষুত্ব গ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দান করেন। তাতে আমার ভাবি জীবন চলার দিক নির্দেশনা লাভ করি ।
বড়ুয়া জাতির এক সম্মানজনক পরিবর্তন স্বপ্নে বহু দুঃখ দায়ক ঝড়তুফান অতিক্রম করে আজ আমি ভিক্ষু জীবনের ৫০টি বছর পার করলাম ।সাধক ভদন্ত আনন্দমিত্র মহাথেরো ও তৎ শিক্ষায় আলোকিত বিদর্শনাচার্য ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথেরো , ভদন্ত বন ভান্তে সহ অনেক গুণীজনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই সমৃদ্ধ আমার ভিক্ষু জীবন । সেই গুণীদের উদ্দেশ্যে সকৃতজ্ঞ বন্দনা জানাই ২০২৫ এর ১০ই ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞাবিহার থেকে সুপ্রভাতে। (চলবে )
0 Comments