ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ এখনও পর্যন্ত অনেক প্রাচীন স্থান খনন করেছে। কিন্তু সে সব খনন কাজে নিখুঁত ছিল না। বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রাচীন অবশিষ্টাংশ ব্রিটিশ আমলে সঠিক স্থানে খনন করে অর্জিত হত। কিন্তু ঐ সব জায়গা শতাংশ খনন সম্পন্ন হয়নি। কিছু জায়গায় ৫০% খনন করে প্রাচীন অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায় ৭০% কিছু জায়গায় ৪০% এবং কিছু জায়গায় ৪০%। এ কারণেই এএসআই পুনরায় খনন করছে এবং সেই জায়গাগুলিতে প্রাচীন অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করছে যেখানে এখনও প্রাচীন অবশিষ্টাংশ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেপাহওয়া স্তুপার সাথে এটাই হয়েছিল। শতাব্দী আগে খনন করার সময়, বুদ্ধ ছাই 1970 সালে খনন করে অর্জন করা হয়।
উড়িষ্যার রত্নগর্ভার স্থানে সম্প্রতি খনন করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রচুর অবশিষ্টাংশ পেয়েছি। গত ৭০ দিন ধরে পুরীর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫০ সদস্যের একটি টিম রতনগিরিতে অবস্থান করছে এবং খনন করছে। প্রাক্তন এএসআই পরিচালক এবং ভারতের প্রথম মহিলা প্রত্নতাত্ত্বিক দেবলা মিত্র এই রত্নগর্ভা সাইটে গাইড করছেন। খনন কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর 5ই ডিসেম্বর এবং এখন পর্যন্ত শিলালিপি, otw স্তুপ, বুদ্ধ ভাস্কর্য এবং দেবী গ্রহণ করা হয়েছে।
উড়িষ্যার রতনগিরি, উদয়গিরি ও ললিতগিরি মত স্থানগুলোকে সংযুক্ত করে একটি রেখা হলে ত্রিভুজ গঠিত হয়। একে বলে হীরার ট্র্যাঙ্গেল। এই তিনটি স্থান বজরায়ণ বৌদ্ধ ঐতিহ্যের এবং মহাস্তুপা, চৈত্যা, শিলালিপি, ভটিভ স্তুপ, হাতির ভাস্কর্য, বুদ্ধ, মঞ্জুশ্রী, তারাদেবী বিশাল ভাস্কর্য রয়েছে। ১৯০৫ সালে রত্নগর্রিতে প্রথম খনন করা হয়। তারপর ১৯৫৮ এবং ১৯৬০ এর মধ্যে আবার খনন করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে এখানকার মাটিতে বুদ্ধ ভাস্কর্যের মাথা দেখা গিয়েছিল। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ এই জায়গাটি আবার খনন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বর্তমান সুপারিনটেনডেন্ট গারনায়েক জানিয়েছেন যে এখানে বড় বিহার এবং অ্যাসেম্বলি হলও খনন করা হয়। এছাড়াও, বুদ্ধের মোট 3 টি অসাধারণ পাথরের ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। এই শিরা উপর চিহ্ন বুদ্ধের আধ্যাত্মিক এবং জ্ঞান অর্জনের উচ্চ অবস্থার নির্দেশ করছে। আশ্চর্যজনকভাবে তিন ভাস্কর্য শিরা ভালো অবস্থায় আছে। তবে হাজার হাজার বছর আগের হামলায় পাথর ভাস্কর্য পাঠ ভাংচুর বলে মনে হচ্ছে।
এখানে পাওয়া বহুমূল্য বৌদ্ধ সংস্কৃতির অবশিষ্টাংশকে আমি অভিবাদন জানাই। হাজার হাজার বছর আগে যারা এই ভাস্কর্য ও ভাস্কর্য গুলো ধর্মান্ধতা আর ঘৃণা দিয়ে ভেঙ্গেছে তারা এখনো জন্ম মৃত্যুর চক্করে বন্দি থাকবে। এদের ও যেন ধম্ম লাভ হয়। এরাও সুস্থ হয়ে যাবে বলে আমি চিন্তিত। বুদ্ধের ভাস্কর্য ভেঙে শেষ হয় না। তিনি এই জমিনের কণা থেকে এবং এর উপরওয়ালার হৃদয় থেকে বার বার জেগে উঠছে।
+++ সঞ্জয় সাওয়ান্ত ++
0 Comments