সিদ্ধার্থের জীবপ্রেম
একদিন উদ্যানে বসে কুমার প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন।নীল আকাশে একদল সাদা হাসঁ উড়ে যাচ্ছিল।সিদ্ধার্থ মুগ্ধ হয়ে ঐ দৃশ্য দেখছিলেন।হঠাৎ তীরবিদ্ধ হয়ে একটি সাদা হাঁস তার কোলে এসে পড়ল,রক্তাক্ত হাসঁটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তীরবিদ্ধ হাসেঁর কষ্ট দেখে সিদ্ধার্থের অন্তর করুনা উৎপন্ন হলো।তিনি সযত্নে তীরটি ছাড়িয়ে নিলেন।সেবা শুশ্রূষা করে হাঁসটিকে বাঁচিয়ে তুললেন।এমন সময় আরেক রাজকুমার দেবদত্ত এসে হাসঁটি দাবি করল।তিনি বলল,কুমার হাসঁটি আমার,আমি তীরবিদ্ধ করেছি।হাঁসটি আমাকে ফিরিয়ে দাও।সিদ্ধা্র্থ, হাঁসটি ফিরিয়ে দিলেন না, তিনি বললেন,তুমি হাসঁটিকে তীরবিদ্ধ করে হত্যা করতে চেয়েছিলে।আমি ওর জীবন বাচিঁয়েছি।
কার অধিকার বেশি ? যে জীবন হরণ করতে চায় তার? নাকি যে জীবন দান করেছে তার? দেবদত্ত কুমারের যুক্তি মানলেন না। বিবাদ বিচারের জন্য প্রবীণদের কাছে উত্থাপন করা হলো। প্রবীণরা সিদ্ধার্থ গৌতমের যুক্তিকে সমর্থন করলেন,বললেন,কুমার যথার্থ বলেছে, যে জীবন দান করেছে হাসেঁর ওপর তার অধিকারই বেশি।সিদ্ধার্থ হাসঁটি সুস্থ করে তুলে উন্মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলেন।সিদ্ধার্থের সমুধুর ব্যবহার, উদারতা, মৈত্রীপূর্ণ আচরণ, প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি রাজ অন্তঃপুরবাসী ও প্রজাসাধারণের অন্তর জয় করেছিল।তিনি হয়ে উঠলেন সকলের প্রিয়।সিদ্ধার্থের বিবাহ সিদ্ধার্থ গৌতম ক্রমে ষোল বছর বয়সে পদাপর্ণ করলেন। মহারাজ শুদ্ধোদন পুত্রের উদাসীনতা ও বৈরাগ্যভাব অনুধাবন করে পুত্রকে সংসারী করার তাগিদ অনুভব করলেন।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
0 Comments