গৃহীদের ধুতাঙ্গ শীল-
ভগবান গৃহীদের জন্য দুইটি ধুতাঙ্গ শীল নির্দিষ্ট করিয়াছেন। উপোসথ দিনে এই ধুতাঙ্গ পালন করা সহজ। তবে প্রত্যাহিক পঞ্চশীলের সাথেও এই দুটি ধুতাঙ্গ শীল পালন করা যায়। ধুতাঙ্গগুণ থাকিলে সহজে ভাবনা দ্ধারা মার্গ ফল লাভ করা যায়। সেই কারনে উপাসক-উপাসিকাদের ধুতাঙ্গ অধিষ্ঠান করা উচিত।
১.একাসনিক ধুতাঙ্গ শীল-
*প্রথমে ত্রিশরণসহ শীল গ্ৰহণকরে ধুতাঙ্গ অধিষ্ঠান করতে হয়,তাহা এরূপ -"নানাসন ভোজনং পটিক্খিপামি, একাসনিকঙ্গং সামাদিয়ামি।" অর্থাৎ আসন পরিবর্তন করে ভোজন করিব না। যে আসনে বসিব,সে আসনেই ভোজন সমাপ্ত করিয়া উঠিব,আমি এই একাসনিক ধুতাঙ্গ গ্ৰহণ করছি।
এই ধুতাঙ্গ তিন ভাবে পালন করা যায়।
*উৎকৃষ্ট : এক আসনে বসে নিজের পরিমাণ মত ভাত-তরকারী একটি প্লেটে নিয়ে খেতে শুরু করলে আর কিছু না নেওয়া।
*মধ্যম : এক আসনে বসে যে পর্যন্ত ভাত-তরকারী খাওয়া শেষ না হয়,সে সময় পর্যন্ত আরও খাবার নিতে পারে, শেষ করে খেয়ে ফেললে আর নিতে পারে না।
*মৃদু : যে পর্যন্ত আসন থেকে না উঠে সে পর্যন্ত খেতে পারে,আসন থেকে উঠলে আর খেতে পারে না
২.পাত্রপিন্ডিক ধুতাঙ্গ শীল-
"দুতিযকভাজনং পটিক্খিপামি পত্তপিন্ডিকঙ্গং সামাদিয়ামি।" অর্থাৎ একটি মাত্র প্লেট হোক বা একটি মাত্র বাঁটি হোক নিজের হাতে রেখে খাদ্য গ্ৰহণ করিব,অন্যটি আর নেব না,এই পাত্রপিন্ডিক ধুতাঙ্গ অধিষ্ঠান করছি।
এই পাত্রপিন্ডিক ধুতাঙ্গ শীল তিন ভাবে পালন করা যায়।
*উৎকৃষ্ট : ভাতের পিন্ডি ভেঙ্গে,মাছ-মাংসের হাড়-কাঁটা ও অনান্য খাদ্য খোসা ছাড়িয়ে গ্ৰাস উপযুক্ত করে খাওয়া শুরু করতে হবে। খাওয়া শুরু করলে কোন কিছু ফেলতে বা ভাঙ্গতে পারে না।
*মধ্যম : এক হাতে ভেঙ্গে সব খেতে পারে।
*মৃদু : এক হাতে হোক বা দুই হাতে হোক বা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে খেতে পারে।
এই ধুতাঙ্গ পালনের ফলে আহারে মিতজ্ঞান বা সংযম শিক্ষা হয়। খাবারের প্রতি প্রবল তৃষ্ণার লাগব হয়। শরীর সুস্থ ও হালকা থাকে। শক্তি বৃদ্ধি পায়। চিত্ত ভয় শূণ্য হয়। খাবারে স্বেচ্ছাচারিতা দূর হয়।উপদ্রব শূন্য ও ভোজন লালসা দূর হয়।।
0 Comments