বৌদ্ধধর্মে ধ্যানের প্রকারভেদ :
বৌদ্ধ ধর্মে আমরা দুই প্রকার প্রধান ধ্যান সাধনা পদ্ধতি দেখতে পাই ।
১) সমথ ধ্যান বা ভাবনা - সমথ বা শমথ একটি পালি শব্দ । এর অর্থ সমাধি বা প্রশান্তি। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মন সম্পূর্ণ শান্ত থাকে এক স্থানে কেন্দ্রিত থাকে । এ ধ্যান শীল, সমাধির পরিপূরক। এটি লৌকিক সাধন । সমথ ধ্যান অনুশীলনে ৩ প্রকার সুখ আসে ।
যথা
ক) বর্তমান জীবনকে সুখ শান্তি, আনন্দ উৎফূল্ল করে তোলে ।
খ) অনুকূল পূন জন্ম হয় ।
গ) মনের সমস্ত হিংসা-দ্বেষ মোহ, লোভ ও তৃষ্ণা চলে যায় ।ব্রহ্মবিহার অর্থাৎ মৈত্রী, করুনা মুদিতা-ও উপেক্ষা চর্চা করার মাধ্যমে এই ধ্যান লাভ করা সম্ভব ।
২) বিদর্শন ধ্যান - বিদর্শন শব্দের অর্থ হলো বিপস্ন।
বি + দর্শন = বিদর্শন । বিশেষভাবে বা যথার্থভাবে দর্শনই বিদর্শন । এটা সত্যের সাধনা । সত্যকে ভ্রান্ত দৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করার দর্শন, যার অপর নাম মিথ্যা দৃষ্টি। জীবন ক্ষণস্থায়ী। এ জীবনকে যিনি অহংবোধ নিয়ে চিন্তা করেন তার দৃষ্টি সঠিক নয় ।
বিদর্শন হচ্ছে সম্যক জ্ঞান, আত্মশুদ্ধি ও আত্মবিমুক্তি।
যাবতীয় সংস্কার ( সত্ত্ব ও বস্তু ) অনিত্য , এতএব জগৎ জীবন দুঃখময় । এ সত্য যিনি উপলব্ধি করবেন তিনিই বিদর্শন সাধক । বিদর্শন লোকোত্তর সাধনা ।
সূত্র: সংগৃহিত
0 Comments