Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আসলে আমরা কি বুঝাতে চাচ্ছি!! শুভংকর বড়ুয়া

 



আসলে আমরা কি বুঝাতে চাচ্ছি!!
আমাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, যেমন মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দির, বা হিন্দু মন্দিরে হামলা, একটি মানবিক ও সামাজিক সংকটের নিদর্শন। এ ধরনের হামলা শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি আঘাত নয়, বরং এটি মানবতার প্রতি আঘাত। ধর্মীয় স্থাপনাগুলো কেবল উপাসনার স্থান নয়, বরং সেগুলো সমাজে শান্তি, সংহতি ও সহমর্মিতার প্রতীক।একটু গভীরে প্রবেশ করা যাক--
শুরুতে পবিত্র স্থান মসজিদ দিয়ে শুরু করি ------
মসজিদে হামলা: মসজিদ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান, যেখানে ওনারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে। মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, এটি ইসলামী শিক্ষা, শান্তি এবং ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। এখানে মানুষ আত্মিক প্রশান্তি ও ঐক্যের জন্য একত্রিত হয়। মসজিদের পরিবেশে সবসময়ই পবিত্রতা, শৃঙ্খলা ও স্নিগ্ধতা বিরাজ করে।এই পবিত্র স্থান সকলের জন্য গৌরবের। মসজিদে হামলা মানে ধর্মীয় অধিকার এবং বিশ্বাসের ওপর সরাসরি আক্রমণ। এটি সামাজিক ভ্রাতৃত্ব এবং শান্তির মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করে।পবিত্র স্থানে হামলা করা লোক কোন ধর্মের হতে পারে না। এরা দেশের শত্রু।
বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা: বৌদ্ধ মন্দির ধ্যান, শিক্ষা, এবং শান্তির প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মের মূল শিক্ষা হলো অহিংসা এবং সহানুভূতি। একটি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করা মানে হলো সহনশীলতার বিপরীতে হিংসার প্রচার করা, যা একটি সুস্থ সমাজের বিকাশে অন্তরায়।
হিন্দু মন্দিরে হামলা: হিন্দু মন্দিরগুলি দেব-দেবীর পূজা এবং আধ্যাত্মিকতা চর্চার স্থান। এই স্থানে হামলা করা মানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হানা। এটি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকতাকে ক্ষুণ্ণ করে না, বরং সমাজে বিভেদ এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
পরিশেষে,
দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে চাই --
এইসব হামলা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা এবং বৈষম্যের চূড়ান্ত রূপ। এগুলোর প্রতিকার হিসেবে সমাজে সহনশীলতা, সম্মান ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মূল্যবোধকে জাগ্রত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানবতার প্রতি মমত্ববোধ সমাজকে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুস্থ পরিবেশে নিয়ে যেতে পারে।আর কত এভাবে চলবে?
আমরা কি পরিবর্তন হতে পারব না?
আমাদের অজ্ঞানতা দূর করে নতুন সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। ধর্মের উপর হামলা বন্ধ হোক এটাই প্রত্যাশা। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।

সুন্দর দেশের প্রত্যাশায়
প্রভাষক শুভংকর বড়ুয়া
উখিয়া, কক্সবাজার
২০.০৯.২০২৪খ্রিঃ

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement