Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বৌদ্ধ ধম্মে দেশক ও শ্রোতার পাঁচ সম্পদ ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু

 


বৌদ্ধ ধম্মে দেশক ও শ্রোতার পাঁচ সম্পদ

ড. বরসম্বোধি ভিক্ষু


পালি সাহিত্য ত্রিপিটকে এরকম অনেক উদাহরণ পাওয়া যায় যে, ভগবান বুদ্ধের ধম্ম দেশনা শুনতে শুনতেই অনেকে স্রোতাপত্তি ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেত, অনেকে সকৃদাগামী ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেত, অনেকে অনাগামী ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেত এবং অনেকে অরহত্ব ফলেও প্রতিষ্ঠিত হত।

সারনাথে ভগবানের প্রথম দেশনা ধম্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা শুনতে শুনতেই ভদন্ত কৌণ্ডন্য মার্গফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ভদ্রিয়, মহানাম, বপ্প ও অশ্বজিত এ চারজন ভিক্ষু পরবর্তীতে ‘অনাত্ত লক্ষণ’ দেশনা শুনে মার্গফল লাভ করেন।

ধম্মপদ অর্থকথায় ৩০৫ টি গাথা বর্ণনার অবসানে প্রায় প্রত্যেক বাক্যাংশে এরূপ দেখা যায় যে, ভগবানের অমুক গাথা শুনে অমুক ব্যক্তি বা ভিক্ষু স্রোতাপত্তি ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সকৃদাগামী ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অনাগামী স্তরে উপনীত হয়েছে এবং অরহত্ব ফল প্রাপ্ত হয়েছে।

‘সত্যবিভঙ্গ সূত্রে’ উল্লিখিত হয়েছে-‘ভগবানের স্বীয় প্রভাবশালী শিষ্য সারিপুত্র ও মহামোগ্গল্লায়ণ ভিক্ষুদ্বয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে অপর ভিক্ষুদেরকে বলেছেন-‘ভিক্ষুগণ! তোমরা সারিপুত্র এবং মহামোগ্গল্লায়নের সাহচর্য করো। সারিপুত্র স্রোতাপত্তি ফলে উপনয়নকারী এবং মহামোগ্গল্লায়ন হলেন অরহত্ব ফলে প্রতিষ্ঠাকারী।’

একবার ভগবান বুদ্ধের সেবক আয়ুস্মান আনন্দ স্থবির ভিক্ষুণীদেরকে ধম্মোপদেশ প্রদান করছিলেন। এ ঘটনার উল্লেখ বিনয় পিটকে রয়েছে। আয়ুস্মান আনন্দের ধম্মদেশনা শুনতে শুনতেই এক ভিক্ষুণী অরহত্বে উপনীত হয়েছিলেন। জগতবাসী সহ আমরা সকলে ভালভাবেই জানি যে, ভগবানের মহাপরিনির্বাণের পরেই ভদন্ত আনন্দ স্থবির অরহত্ব ফল লাভ করেছিলেন। অর্থাৎ বুদ্ধ বচন সমূহ এতই শক্তিশালী যে, দেশনাকারী অরহত না হলেও শ্রবণকারী অরহত্ব ফল পর্যন্ত লাভ করে থাকে।

ধম্মোপদেশের এরূপ উচ্চতম ফল যা শ্রবণকারী লাভ করতে সক্ষম হয়।

সত্যিকারভাবে পাঠক এবং গ্রন্থের মধ্যে অথবা ধম্মোপদেশক এবং শ্রদ্ধা সম্পন্ন শ্রোতার মধ্যে যখন বাল্ব এবং হোল্ডার তথা সুইচ অনের (Switch on) মত সম্বন্ধ হয়ে থাকে তখন আলো এসে থাকে। ইহাকে ত্রিকোটি পরিশুদ্ধতা বলা হয়। অন্যথায় সবকিছু যন্ত্রের মতই হয় এবং কোন কিছুই হয়না।

আধ্যাত্মিকরূপে বুদ্ধ বচন পাঠ বা শ্রবণেরও এক বিধি রয়েছে।

তিব্বতি বৌদ্ধ পরম্পরায় ধম্ম শ্রবণকারী অথবা ধম্ম গ্রন্থপাঠকারী শ্রদ্ধাবান শ্রোতা এবং পাঠকের জন্য পাঁচ সম্পদের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেগুলি হল নিম্নরূপ-

১) উপদেশক সম্পদ
২) আশ্রয় সম্পদ
৩) ধম্ম সম্পদ
৪) পরিষদ সম্পদ এবং
৫) সময় সম্পদ

সারনাথে কেন্দ্রীয় উচ্চ তিব্বতি শিক্ষা সংস্থানের উপাচার্য অধ্যাপক ওয়াংচুক দোর্জে নেগী দ্বারা প্রজ্ঞা পারমিতা হৃদয় সূত্রের অনুবাদ এবং টীকায় উক্ত সম্পদ সমূহের অতীব সুন্দর বর্ণনা দেখা যায়।

১) উপদেশক সম্পদ-

ধম্মদেশনা শুনার সময় শ্রদ্ধাবান শ্রোতাকে ধম্মোপদেশ প্রদানকারীর মধ্যে স্বীয় ইষ্ট বিরাজমান রয়েছে এরূপ দেখতে হবে। ইহাকে ধম্মোপদেশক সম্পদ বলা হয়। এরকম মনোভাবের কারণে শ্রোতার গ্রহণশীলতা সহজ হয়ে যায়। মুখ্য বিষয় হল গ্রহণশীলতাই। তখনই ধম্মদেশনা হৃদয়ের তল পর্যন্ত স্পর্শ করে।

২) আশ্রয় সম্পদ-

যে স্থানে ধম্মদেশনা করা হচ্ছে, সে স্থানকে স্বীয় ইষ্টের ভূবন বা লোক বা বাসস্থান পরিকল্পনা করতে হবে।যেমন সারনাথ, বুদ্ধগয়া, শ্রাবস্তী, বৈশালী প্রভৃতি স্থানের মধ্যে যে কোন স্থানের পরিকল্পনা মনের মধ্যে সজীব রাখতে হবে, যেন মূলগন্ধকুঠীতে বসে ভগবান স্বয়ং ধম্মোপদেশ প্রদান করছেন অথবা বোধিবৃক্ষের নীচে বসে ধম্মোপদেশ প্রদান করছেন। দেশকের মধ্যে ভগবানের তেজস্বী মুখমণ্ডলের কল্পনা করা। ইহাকে আশ্রয় সম্পদ বলা হয়।

৩) ধম্ম সম্পদ-

বুদ্ধ বচনের প্রতি, বৌদ্ধ গ্রন্থ সমূহের প্রতি ত্রিপিটকের প্রতি অপার শ্রদ্ধাভাব থাকা। ইহাকে ধম্ম সম্পদ বলা হয়। নিজেদের পরম্পরার ধম্ম গ্রন্থ সমূহের প্রতি বিশ্বাস না হলে ধম্মোপদেশে তেমন প্রভাব পড়ে না।

৪) পরিষদ সম্পদ-

যেখানেই ভগবান বুদ্ধের ধম্মোপদেশ হয়ে থাকে, সেখানে কেবল মনুষ্যই নয়, বরং অমনুষ্য সত্ত্বা যেমন দেব, ব্রহ্ম ইত্যাদি সত্বগণও এসে শুনে থাকেন। সেরকম অপার্থিব সত্ত্বা সমূহকে পরিষদ বলা হয়।সে পরিষদে আমাদের পরলোকগত সত্ত্বগণও সম্মিলিত হয়ে থাকেন। তাঁদের উপস্থিতি কামনা করা, তাঁদের স্মরণ করা এবং আহ্বান করা হল পরিষদ সম্পদ।

৫) সময় সম্পদ-

ধম্মোপদেশ শুনার সময় মনের গভীরে ভগবান বুদ্ধের সময়কালেই যেন তাঁর সামনে বসে ধম্ম শুনছি এরূপ সংকল্প করাকেই সময় সম্পদা বলা হয়। ইহাকে ইংরেজীতে Visualisation বলা হয়। মনোবিজ্ঞানে মানসিক রোগ নিবারণের জন্য, মনোবল বিকাশের জন্য, আত্ম বিশ্বাস বা Confidence বিকশিত করার জন্য Visualisation হল এক প্রভাবী পদ্ধতি।

উপরোক্ত পাঁচ সম্পদে সম্পন্ন শ্রদ্ধাবান-শ্রদ্ধাবতী ধম্মোপদেশ শ্রবণকারীই আদর্শ শ্রবণকারী হয়ে থাকেন। কিন্তু কেবল শ্রোতাই আদর্শ হয় না, ভগবান বুদ্ধ ধম্মোপদেশকেরও পাঁচটি গুণের বর্ণনা করেছেন।

ত্রিপিটকের অঙ্গুত্তর নিকায়ের পঞ্চক নিপাতের উদায়ী সূত্রে ধম্মোপদেশকের পাঁচ প্রকার গুণের কথা উল্লেখ করেছেন।

ভগবান কৌশম্বীর ঘোষিতারামে বিহার করছিলেন। তখন আয়ুস্মান আনন্দ স্থবির আয়ুস্মান উদায়ীকে উপোসথের এক বিশাল পরিষদে ধম্মোপদেশ প্রদান করতে দেখেছিলেন।

আয়ুস্মান আনন্দ ভগবানের নিকট এসে অভিবাদন করে এক পাশে বিনয় পূর্বক বসে ভগবানকে বললেন-‘ভগবান! উদায়ী উপোসথের এক বিশাল সভায় ধম্মোপদেশ প্রদান করছেন।‘

তখন ভগবান বললেন-‘ন খো, আনন্দ! সূকরং পরেসং ধম্মং দেসেতু।’ অর্থাৎ অন্যকে ধম্মদেশনা বা ধম্মোপদেশ করা সহজ কাজ নয়।’

‘দেসেন্তেন পঞ্চ ধম্মে অজ্ঝত্তং উপট্ঠাপেত্বা পরেস ধম্মো দেসেতব্বো।’ অর্থাৎ অন্যদেরকে ধম্মোপদেশকারীকেও প্রথমে নিজের মধ্যে পাঁচটি ধম্ম ধারণ করা উচিত।

কতমে পঞ্চ? অর্থাৎ সে পাঁচ ধম্ম কি?

১) অনুপুব্বিং কথং কথেস্সামি’তি পরেসং ধম্মো দেসেতব্বো।’

আনুপুর্বিক বিষয় দেশনা করে ধম্মোপদেশ করব, এরূপ মনে রেখে ধম্মদেশনা করা উচিত।

আনুপুর্বিক কথা আট প্রকার হয়ে থাকে। যেমনঃ-

১) দান কথা ২) শীল কথা ৩) স্বর্গ কথা ৪) কামবাসনার দুষ্পরিণামের কথা ৫) ক্লেশ সমূহের দোষের কথা ৬) নৈষ্ক্রম্যের মাহাত্য কথা ৭) সমুৎকর্ষক অর্থাৎ চার আর্য সত্যাদির দেশনা ৮) দুঃখ নিরোধ গামিনী প্রতিপদা বা আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ দেশনা।

এমনিতে আনুপুর্বিক কথার সহজ অর্থ হল জাতকের পূর্ব ভবের কথা। নিহিতার্থ হয় জাতকের মনোবৃত্তির অনুকুল কথা শ্রবণ করানো। প্রথমতঃ দান, শীল ইত্যাদির প্রসঙ্গ শ্রবণ করানো, পরে ক্রমিকরূপে উচ্চতর বিষয়াবলীর দিকে অগ্রসর হওয়া।

আমাদের মধ্যে প্রায় সময় দেখা যায় যে, যদি ধম্ম সভায় কারো বলার সুযোগ হয়ে থাকে, তখন বক্তার বিদ্বতা প্রদর্শনের জন্য কেহ কেহ নিজের পছন্দমত আটত্রিশ প্রকার বোধিপক্ষীয় ধম্মের বিষয় বলতে শুরু করেন, কেহ কেহ প্রতীত্য সমুৎপাদ বিষয়ের উপর বলতে শুরু করেন, কেহ কেহ বিদর্শনের উপর বলতে শুরু করেন, অথবা কেহ কেহ যে বিষয়ে পড়েছেন বা শুনেছেন সে সমস্ত কঠিন হতে কঠিনতর বিষয়ের উপর বলার জন্য নির্বাচন করেন। এজন্য শ্রোতা, বক্তা এবং বিষয়ের মধ্যে বাল্ব, হোল্ডার, সুইচ অনের মত সম্পর্ক তৈরী হয়না। তাতে কোন আলোর প্রকট দেখা যায়না।

২) উদায়ী সম্পর্কে ভগবান বুদ্ধ ভদন্ত আনন্দকে ধম্মোপদেশকের দ্বিতীয় গুণ বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন যে-‘পরিযাযদস্সাবী কথং কথেস্সামী’তি পরেসং ধম্মো দেসেতব্বো।’ অর্থাৎ উদাহরণ, দৃষ্টান্ত সমূহের দ্বারা দেশনা প্রদান করব এরূপ চিন্তা করে অন্যদেরকে ধম্ম দেশনা করা উচিত।

অনেকবার ভগবান ইহা বলেছেন যে, উপমা এবং উদাহরণের সাহায্যে প্রায় সময় কঠিন বিষয়কে সহজে বুঝানো সম্ভব হয়।

৩) তৃতীয় গুণ- ‘অনুধ্যতং পটিচ্চ কথং কথেস্সামী’তি পরেসং ধম্মো দেসেতব্বো।’ অর্থাৎ অনুকম্পা করার জন্য ধম্মোপদেশ প্রদান করব।এরূপ চিন্তা করে দেশনা করা উচিত।

অনুকম্পা অর্থাৎ লোকদেরকে অজ্ঞান-অন্ধকার হতে বের করব এবং জ্ঞানের মার্গে প্রতিষ্ঠিত করব, দুঃখ হতে মুক্তির উপায় নির্দেশ করব এবং কষ্ট হতে নিবারণের উপায় নির্দেশ করব, মিত্রের ন্যায় কথা বলব, অহঙ্কারের সাথে কথা না বলে মৈত্রীর সাথে বুঝাব। যিনি স্বয়ং অহঙ্কারের বোঝা মাথায় নিয়েছেন, তিনি অন্যের বোঝা হাল্কা করতে কিভাবে সমর্থ হবেন?

৪) ভগবান বুদ্ধ ভদন্ত আনন্দ স্থবিরকে চতুর্থ গুণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন-‘আমিসন্তরো কথং কথেস্সামী’তি পরেসং ধম্মো দেসেতব্বো’ অর্থাৎ কোন ভৌতিক লাভ-সৎকারের লোভে অপরকে ধম্মোপদেশ করব না- এরূপ চিন্তায় অন্যদেরকে ধম্মদেশনা করা উচিত।

এখানে ভগবান বুদ্ধ কি বলেছেন, তা একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করুন। ভগবান বলেছেন কোন লাভ-সৎকার কিংবা জাগতিক সম্পদ লাভের আশায় ধম্মদেশনা করতে নেই। বর্তমানের ধম্ম দেশকেরা কি নির্লোভ হয়ে ধম্ম দেশনা করে থাকেন? অনেক ক্ষেত্রে পূর্ব হতে তাঁরা আয়োজকদেরকে দান-দক্ষিণার কথা বলে দেন। ধম্ম কথা শুনার জন্য শুল্কও নির্ধারণ করে দেন। যে সকল ধম্মদেশকেরা ধম্মকে ধান্ধা বানিয়েছেন, তাঁরা পূর্বেও ধম্মের হানিকারক ছিলেন এখনও সেরকম হানিকারক এখনও আছেন। ভিক্ষুদের মধ্যে এরকম মানসিকতা সম্পন্ন কম নয়।

৫) ভগবান বুদ্ধ পঞ্চম গুণের কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন-‘অত্তানং চ পরং চ অনুপহচ্চ কথং কথেস্সামী’তি পরেসং ধম্মো দেসেতব্বো’ অর্থাৎ স্বয়ংকে এবং অন্যদেরকে হানি পৌঁছানোর জন্য ধম্ম দেশনা করবনা, এরকম চিন্তা করে অন্যদেরকে ধম্ম দেশনা করা উচিত।

লাউড স্পীকার লাগিয়ে বর্তমানে দিনের পর দিন এমনকি রাত্রিতেও ধার্মিক পূজা-পাঠ, সূত্রপাঠ ও ধম্ম প্রবচনের আয়োজন হয়ে থাকে। অনেক সময় তখন ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন পরীক্ষা চলমান থাকে অথবা আশে-পাশে বস্তী বা মহল্লায় বৃদ্ধ ও রোগী থাকে, যাঁরা উচ্চ শব্দে অতীষ্ট হয়, নবজাত শিশুদের নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটে। এগুলি হল অন্যদের হানি কারক ধম্মদেশনা প্রদান। অনেক দেশকের আবার কথা ও কাজের সাথেও কোন সামঞ্জস্যতা নাই। কেহ কেহ দেশনায় ব্যভিচারাদি হতে বিরত থাকার জোর উপদেশ দিলেও তাঁরা আবার গোপনে কামাচারেও লিপ্ত থাকে। তাঁরা আবার শ্রদ্ধাবানদের ধার্মিক ভয় দেখিয়ে বা স্বর্গের প্রলোভন ও নরকের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের দক্ষিণা বা লোভনীয় বস্তু সামগ্রী উপহার নেন। এগুলি হল ধম্ম দেশকের আধ্যাত্মিক নৈতিক হানি।

ভগবান বুদ্ধ ভিক্ষুদেরকে বলেছেন-‘স্বয়ংকে এবং অন্যদেরকে হানি না করে ধম্মোপদেশ প্রদান করব, এরকম চিন্তা করে অন্যদেরকে ধম্মোপদেশ প্রদান করা উচিত।

ভগবান পুনঃ বলেছেন-‘আনন্দ! অন্যদেরকে ধম্মদেশনা করা বা ধম্মোপদেশ করা এত সহজ কাজ নয়। ধম্মোপদেশকারীকে প্রথমে নিজের মধ্যে উপরোক্ত পাঁচ গুণ ধারণ করা উচিত।

শ্রদ্ধাবান শ্রোতা অথবা পাঠকের এ পাঁচ সম্পদ এবং ধম্মোপদেশকের এ পাঁচ গুণ বিদ্যমান থাকলে তাহলে আধ্যাত্মিক আলো আজকের দিনেও প্রকট হওয়া সম্ভব।

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement