বুদ্ধ ও বৌদ্ধধম্মকে জানার জন্য নিছক বিশ্বাস নয়, প্রয়োজন জ্ঞান- "দালাই লামা"

 

বুদ্ধ ও বৌদ্ধধম্মকে জানার জন্য নিছক বিশ্বাস নয়, প্রয়োজন জ্ঞান-
"দালাই লামা"

তিব্বতের আধ্যাত্মিক বৌদ্ধগুরু ও নোবেল জয়ী দালাইলামা তাঁর বক্তব্য প্রদানকালে বলেন বুদ্ধ ও বৌদ্ধধম্মকে জানার জন্য নিছক বিশ্বাস নয় প্রয়োজন জ্ঞান। তিনি আরো বলেন বৌদ্ধধম্মের জন্ম ও উন্নয়ন হয়েছিল এই ভারতে(ভারতবর্ষ)।
বিশ শতাব্দীতে বাবা আম্বেদকর ভারতে বৌদ্ধধম্মের পুর্নজাগরণ ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। আচার্য শান্তরক্ষিতকে তিব্বতে আমন্ত্রণে অধ্যয়ন, আলোচনা ও বৌদ্ধ সাহিত্য রচনার লক্ষ্যে যা এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বুদ্ধ তিনি কখনো বলেননি যে আমি স্রষ্টা। বুদ্ধের জ্ঞান কাউকে হস্তান্তরযোগ্য নয়। বরং নিজেকে বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ পূর্বক জ্ঞান অর্জন করে নিতে হয়। এই বৌদ্ধগুরু আরো বলেন, বিজ্ঞানীরা বৌদ্ধধম্ম অধ্যয়ন করছে এবং এর সম্পর্কিত নালন্দা স্কুল নিয়েও। তিনি বলেন, আমি সবসময় বৌদ্ধদের একবিংশ শতাব্দীর বৌদ্ধ বলি। এর অর্থ হলো আমি বৌদ্ধধম্ম অধ্যয়ন করতে বলি। দুই ধরণের অনুসারী রয়েছে একটি বিশ্বাসের সাথে অন্যটি বিচার-বিবেচনা নিয়ে। আপনি যদি বিশ্বাসের সাথে বৌদ্ধধম্ম অনুশীলন করেন তা’হলে বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তখনই বৌদ্ধধম্ম স্থায়ী হবে যদি জ্ঞানের ভিত্তিতে অনুসরণ ও অনুশীলন করা হয়।
Kadam Geshe Langri Thangpa Dorje Senge র লাইন পাঠ করে বলেন, আপনার শত্রুর সবোর্ত্তম শিক্ষক হলেন করুণা। যতক্ষণ না আপনি সবার চেয়ে ছোট হয়ে থাকতে পারবেন ততক্ষণ অন্যের মহত্ত্ব বুঝতে পারবেন না। বৌদ্ধধম্ম হল ঔষুধের মতো। তবে একটি ঔষুধ বিভিন্ন রোগের উপযোগী হতে পারে না।
প্রত্যেকের উচিত নিজ ধম্মকে বেঁচে নেয়া এবং সহনশীলতার মধ্যে দিয়ে এটিকে অনুসরণ করা । ভারত হলো সর্বোত্তম সহিষ্ণুতার উদারহণ এখানে বহু ধম্মের চর্চা হয়।