শুনতে খারাপ হলেও আপনার কাছের অনেক মানুষ আপনাকে খারাপ দেখতে চায়, তারা চায় সহানুভূতি নামক মলমের তলে একটু কাটা ঘায়ে নুন ছিটাতে, আপনি সিম্পলি সেই সুযোগ টাই দেবেন না, অযথা তর্কে যাবেন না, বোঝাতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, আপনার সামনে কেউ যদি বলে আপনি মুর্খ, তা মেনে হেসে বেরিয়ে আসুন, ওই যে সময় আর এনার্জি বাঁচিয়ে নিলেন, ব্যাস কেল্লাফতে। যে যা বলছে শুনে নিন, আর মুচকি হেসে শিরদাঁড়া সোজা করে নিজের সিদ্ধান্তটা নিজেই নিন, যারা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে তারা আসলেই জীবন চেনে, বোঝে।
আপনাকে নিয়ে যখন বাকিরা সমালোচনা করতে ব্যস্ত থাকবে আপনি ঠিক সেই সময় ভাল কিছু কাজে ব্যস্ত থাকুন। যেমন গাছ লাগান, কোথায়ও ঘুরে আসুন, রং তুলি নিয়ে নিজের ঘর সাজান, বাড়ি গোছান, গল্প পড়ুন, আরো দুটো সাহিত্য পড়ুন, নিজের পুরোনো ফটো দেখুন, ব্যাডমিন্টন খেলুন, ফটো তুলুন, চা খেতে বেরিয়ে পড়ুন, উপসনা করুন, পুজো করুন। মোটকথা তাদের কথায় রিয়েক্ট করবেন না, যা বলছে বলুক, আপনার কানে এলেও ফেলে দিন, দিনশেষে আপনি জানেন আপনি কি, কেমন, আর এটাও জানেন যারা বলছে তারা আপনার কাছে জাস্ট ম্যাটার করেনা ঠিক এইটাই।
একটা বাউন্ডারি সেট করুন, একদম যাদের বা যার পাশে মিশে আপনি শ্বাস নেবেন, যার সামনে আপনি আয়নার মতো দাঁড়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ঠিক তাদের কাছেই ওপেন আপ হন, তাদের কাছেই এক্সপ্লেন করুন, তাদের কাছেই ঝুঁকতে শিখুন, কারণ হয়তো তারা বা সে আপনাকে খারাপ দেখতে চাইবে না।
বাদবাকি দুনিয়াকে ' মালা ঘুরা ' করে ঝেড়ে ফেলে দিন।
একটা কথা মাথায় রাখবেন জীবন অনেক সুন্দর, আপনি যে জীবন টা বাঁচতে পারছেন সেটা অনেক মুল্যবান। আপনাকে শুধু মাঝে মাঝে গজিয়ে ওঠা আগাছা গুলো মিটিয়ে ফেলতে হবে অথবা কোনে একটা কাঁটাঝোর দেখতে পেলে সাইড কাটিয়ে চলে আসতে হবে, সবকিছুর উত্তর দিতে নেই, সবকিছুতে রিয়েক্ট করতে নেই, সবাইকে বোঝানোর কোনো প্রয়োজন নেই, এগুলো বাদ না দিতে পারলে, লস টা আপনারই।
লেখা,জ্যোতি সেন ভিক্ষু,
0 Comments