"খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুর মেধা বিকাশ: এক গ্রামীণ চিত্র"
সকালের এক নির্মল প্রহর। অফিসে বসে কাজে ব্যস্ত ছিলাম, হঠাৎ দরজার সামনে ভিড় জমায় ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছয়-সাতজন শিশু। তাদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাসের ঝিলিক, হাতে উজ্জ্বল একটি কাপ। জানলাম, তারা ফুটবল খেলায় ফাইনালে জিতে এসেছে। এতটাই খুশি যে গ্রামের দোকানে দোকানে ঘুরে সামান্য কিছু টাকার আবদার করছে, যেন এই বিজয় উদ্যাপন আরও রঙিন হয়।
খেলাধুলা শিশুমনের বিকাশে এক অনন্য মাধ্যম। পড়াশোনার পাশাপাশি এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তারা শেখে দলগতভাবে কাজ করা, নেতৃত্ব দেওয়া এবং জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার শিক্ষা। খেলাধুলা তাদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ায় এবং ভবিষ্যতে বড় কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়।
গ্রামের বাচ্চাদের হাতে একটি কাপ মানে শুধু এক টুকরো ধাতু নয়; এটি তাদের স্বপ্নের বাস্তব রূপ। তাদের চোখে সেটি এক বিশাল অর্জন। গ্রামের মানুষের কাছে এই কাপ যেন গর্বের প্রতীক। যখন বড়রা তাদের উৎসাহ দেয়, তখন তারা নিজেদের অমূল্য মনে করে।
আজকের এই বাচ্চাদের আনন্দের মুহূর্তে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করেছি। তাদের সঙ্গে এই অনন্য মুহূর্তটিকে ক্যামেরায় ধরে রাখলাম, যেন এটি একটি স্মৃতি হয়ে থাকে। তাদের উচ্ছ্বাস, তাদের কাপ নিয়ে হাসিমাখা মুখ—সবকিছুই জীবনের অপূর্ব এক গল্প বলে যায়।
আমাদের উচিত শিশুদের এই মেধা বিকাশে আরও সুযোগ করে দেওয়া। গ্রামের স্কুলগুলোতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করা, তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা এবং তাদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা। খেলাধুলা শুধু তাদের শারীরিক বিকাশ নয়, একটি সুষ্ঠু সমাজ গড়তেও ভূমিকা রাখে।
ক্যামেরায় বাঁধা স্মৃতি



তাদের সঙ্গে হাসিমুখে একটি গ্রুপ ফটো তুললাম। ছবিতে ফুটে উঠেছে তাদের উচ্ছ্বাস, আর আমি নিজে যেন সেই আনন্দে অংশীদার হয়ে গেলাম। এ ছবির গল্প বলে—গ্রামের শিশুদের ছোট ছোট সাফল্যও কীভাবে পুরো সমাজকে প্রাণিত করে। সাফল্যের এই মুহূর্তটি শুধু একটি স্মৃতি নয়, একটি বার্তা—যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তবে এই শিশুরাই একদিন আমাদের দেশের গর্ব হবে।
তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায়,
প্রভাষক শুভংকর বড়ুয়া
পাতাবাড়ি, উখিয়া, কক্সবাজার
তারিখ: ২৫.০১.২৫ ইংরেজি।
0 Comments