চার ধরণের বন্ধুর থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। বলেছেন মহামতি বুদ্ধ।

 চার ধরণের বন্ধুর থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। বলেছেন মহামতি বুদ্ধ।

বুদ্ধ তাঁর সিগালোবাদ সূত্র বইতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন চার ধরণের মানুষ, যারা বন্ধুত্বের মুখোশ পরে আসে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শত্রু তাদের চিনতে হবে এবং দূরে থাকতে হবে।

১। গ্রহীতা। এরা বন্ধু সেজে তোমার কাছে আসে, কেবলমাত্র কিছু নিতে। সে সব সময় সেই জিনিসের কথা ভাবে, যা সে তোমার থেকে নিতে পারে। সে তোমাকে কিছুই দেবে না, দিলেও সামান্যই দেবে, কিন্তু চাইবে অনেক কিছু। এই সব মানুষের থেকে দূরে থাকো, না হলে তুমি এদের দ্বারা ব্যবহৃত হবে।

২। বক্তা। এরা তোমার ভীষণ বন্ধু হবে। কিন্তু মুখে, কাজে নয়। তারা তোমার কাছে আসবে, ভালো ভালো কথা বলবে। শুভানুধ্যায়ী সাজবে। বলবে কোন অসুবিধা হলে বলো, আমি সব সময় তোমার সাহায্যার্থে আছি। এইভাবে তোমার মন জিতে নিয়ে নানা সুবিধা সুযোগ নেবে। কিন্তু যখন তুমি সমস্যায় পড়বে, সাহায্য চাইবে, তারা কখনও সাহায্য করবে না। বলবে, ওহ, আমি নিজেও ভীষণ ঝামেলায় আছি, তুমি যদি একমাস আগে সাহায্য চাইতে, কি এক সপ্তাহ আগে সাহায্য চাইতে, আমি করতে পারতাম, কিন্তু এখন সম্ভব না। এই বক্তা বন্ধুদেরও বর্জন করা উচিত।

৩। চাটুকার। চাটুকার কাকে বলে নিশ্চয় ব্যাখ্যা করার দরকার নেই। এরা সব সময় তোমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে। তুমি ভালো মন্দ যাই করো বলবে বাহ, চমৎকার। কারণ তোমাকে দিয়ে তাদের স্বার্থ আছে। হয়ত টাকাপয়সা, হয়ত অন্য কিছু। (কিন্তু যখন স্বার্থ ফুরোবে, তখন তোমার বাপ মা চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে কিছুমাত্র লজ্জা পাবে না।) তাই এদেরকে আগে থেকেই চিনে নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত।

৪। এভিল। এই বন্ধুরা তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব জমিয়ে সুযোগ বুঝে তোমাকে খারাপ পথে নামতে বাধ্য করবে। (প্রেমিক সেজে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে রেড লাইট এরিয়ায় বেচে দেওয়ারা এই গোত্রেই পড়ে বলে মনে হয়) এদের থেকেও দূরে থাকতে হবে, ক্ষতি হওয়ার আগেই। ক্ষতি হওয়ার পরে দূরে থাকা না থাকা সমান।

আমার জীবনে প্রথম তিন ধরণের বন্ধু এসেছে। কর্মপদ্ধতি ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য এক। এরা সবাই গ্রহীতা।