**************************
ভাবনা করতে হলে আগে পঞ্চ আসক্তি ত্যাগ করতে হবে। ত্যাগ করতে না পারলে ভাবনা ফলপ্রসূ হবে না। পঞ্চ আসক্তি কি কি তার নিম্নে বর্ণনা দেয়া হল।
কামাসক্তি
কর্মাসক্তি
-------------- ঃ-------------- কর্মের প্রতি যে আসক্তি । কোন কোন লোক আছে দিন- রাত, সপ্তাহ - মাস প্রতিনিয়ত কাজ করতে ভালোবাসে। এরূপ কর্মাসক্তি ব্যক্তিরা মুক্তির পথ পায় না। এটি একান্ত বির্জনীয়।
নিদ্রাসক্তি
--------------- ঃ-------- ঘুমের প্রতি যে আসক্তি । অনপক লোককে দেখা যায় অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। তারা কোন কারাগারে আছে জানে না। বুদ্ধ ঘুমকে কারাগারের সাথে তুলনা করেছেন। নিদ্রাসক্ত ব্যক্তি ভাবনা করতে পারে না। তাই এটিও নিতান্ত বর্জনীয়।
ইন্দ্রিয়াসক্তি
--------------- ঃ-------- ইন্দ্রিয়ের প্রতি যে আসক্তি । কোন কোন লোককে দেখা যায় পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রতি অত্যধিক আসক্ত থাকে। তারা চক্ষু দ্বারা সুদর্শনীয় বস্তু গ্রহণ করে লোভ মোহ পরায়ণ থাকে। তারা কর্ণ দ্বারা শ্রুতি মধুর শব্দ গ্রহণ করে লোভ মোহ পরায়ণ হয় । জিবহা দ্বারা মনসব সম আস্বাদ গ্রহণ করে লোভ মোহ পরায়ণ হয় । কা বা ত্বক দ্বারা নকোমল বা আরাম দায়ক বস্তু গ্রহণ করে লোভ মোহ পরায়ণ হয় । পঞ্চ আসক্তি বা লোভী ব্যক্তিরা তাদের ইন্দ্রিয় ভোগের বিপরীত হলে দ্বেষ পরায়ণ হয় । তারা লোভ, দ্বেষ, মোহ পরায়ণ হয়ে নানা দুঃখ ভোগ করে এবং মুক্তির পথ অন্বেষণ করতে পারে না। সেজন্য ইন্দ্রিয় আসক্তি ত্যাগ করা একান্ত উচিত ।
মিত্রাসক্তি
--------------- ঃ--------- সঙ্গী বা মিত্রের প্রতি যে আসক্তি । কেউ কেউ সঙ্গী বা মিত্রের সাথে নানা আলাপ করে দিনের পুরো সময়টাই কেটে দেয়। তারা সময়ের মূল্য দিতে পারে না। মিত্রাসক্তি ব্যাক্তিরা মুক্তির পথ খুঁজে পায় না। সুতরাং মিত্রাসক্তি নিতান্তই বর্জনীয়। মহাসতিপটঠানে ভাবনার ছয়টি প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ আছে । ক) কর্মাসক্তি খ) বাক্যসক্তি গ) নিদ্রাসক্তি ঘ) মিত্রাসক্তি ঙ) ইন্দ্রিয়াসক্তি চ) আহারাসক্তি।
এই তৃষ্ণার কারণে সত্বদেরকে জন্ম হতে জন্মান্তরেননদীর স্রোতের মত একবার ডুবিয়ে একবার ভাসিয়ে অসহ্য দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় । একথা চিন্তা করে করুণাঘন বুদ্ধ জন্ম নিরোধ, চিত্ত নিরোধ, চিত্ত নিরোধ করার উপদেশ প্রদান করেছেন ।
সূত্র সংগৃহিত,ত্রিরত্ন সংকলন।
0 Comments